রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে সাকার মাছ। রোববার বিকেলে উপজেলার শীলছড়ি সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর সীতাঘাট এলাকায় মাছ ধরার সময় মো. রহমত আলী নামের জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছটি চিনতে না পেরে প্রথমে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ইউএনওর দপ্তর থেকে সেটি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়।
জানা যায়, রোববার বিকেলে কাপ্তাই উপজেলার শীলছড়ি সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর সীতাঘাট এলাকায় মাছ ধরতে যান মো. রহমত আলীসহ জেলেরা। এসময় জাল টেনে দেখতে পান ভয়ানক চেহারার মাছটি। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে নেওয়ার পর মাছটি সেখান থেকে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানে এটি রাক্ষুসে সাকার মাছ হিসেবে শনাক্ত করেন তারা।
কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে ৩০ বছর ধরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন সুভাষ দাশ। তিনি জানান, এতদিনে নদীতে এ ধরনের মাছ কখনও তার চোখে পড়েনি। এই প্রথম এমন মাছের কথা শুনেছেন তিনি।
কাপ্তাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, এটি রাক্ষুসে সাকার মাউথ ক্যাটফিস। এই রাক্ষুসে মাছ দেশীয় প্রজাতির জন্য হুমকি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। যে জলাশয় কিংবা নদীতে সাকার মাউথ ক্যাটফিস মাছ থাকবে, সেখানে দেশীয় প্রজাতির মাছের খাবার খেয়ে ফেলে এরা। এতে দেশি প্রজাতির মাছগুলো খাবার কম পাবে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশি প্রজাতির মাছ।
তিনি আরও বলেন, এই মাছ মুখ দিয়ে ময়লা আর্বজনা টেনে নেয়। এরা দূষিত এবং খারাপ পানিতেও টিকে থাকে। এই মাছের কাটা বেশি, মাংস কম, তাই মানুষ এগুলো খায় না। এরা দেশি প্রজাতির মাছ খেয়ে ফেলে। এর আগে বুড়িগঙ্গা নদীতেও জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে সাকার মাছ ধরা পড়ার খবর জানিয়েছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।